বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে ‘খুবই দুঃখজনক’ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেউ ভিন্ন মতাবলম্বী হলেও তাকে মেরে ফেলা যায় না। এ ঘটনায় ৫ মিনিটের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে কেউ ছাড় পায়নি। অপরাধী সবাইকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও অপরাধের দায়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নজির রয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে তাদের দলের একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন নজির নেই। বরং তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল।
চলমান সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দলের সবাই ভালো তা বলি না। নানা কারণে আগাছা-পরগাছা দলে অনুপ্রবেশ করেছে। ছাত্রলীগ অনেক ভালো কাজও করেছে। তবে গুটিকয়েক লোকের কারণে আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে না। চাঁদের গায়েও খুঁত আছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল দেশবাসী ভোগ করছে। দেশে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে আন্দোলনের একটু ঢেউও নেই, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। বিএনপির জনপ্রিয়তা এবার রংপুর নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি কখন কী বলেন, তা নিজেও জানেন না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।