রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বুধবার সকাল ১১টায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনের কর্মসূচি ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। সকাল ১০টার দিকে জানানো হয়, কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়েছে। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা ছুটে যান সেখানে। ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন, গরম খবর পাবেন।’
কী সেই ‘গরম খবর’ তা খোলাসা করেননি ওবায়দুল কাদের। এ বক্তব্যের ঘণ্টাখানেক আগে তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ। ‘খালেদা জিয়া জামিন পেলে বিদেশ যাবেন’– মঙ্গলবার এ বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে নতুন আলেচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
‘গরম খবর’টি খালেদা জিয়ার মুক্তি সংক্রান্ত কি-না– এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখন জানাব, তখনই বুঝবেন কী ধরনের খবর। চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার হবে।’
চলমান জুয়াবিরোধী অভিযানে ক্যাসিনো বাণিজ্যে নাম আসা যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হচ্ছেন কি-না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বলছি তো ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন।’ ‘গরম খবর’ সম্রাট সংক্রান্ত কি-না, এর জবাব এড়িয়ে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে অনেক চমক অপেক্ষা করছে। স্বচ্ছ ইমেজের নেতারা দলের নেতৃত্বে আসবেন। আগে বলে দিলে চমক থাকবে না।
তিনি জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাওয়ারি প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়েছে। ২০১২ সালের আগে যেসব জেলা-উপজেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যগুলোর হবে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা আছে। তারপর জাতীয় সম্মেলন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের কমিটিতে জায়গা দেবেন না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, যুবলীগসহ সব অঙ্গসংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তিনি ভারত সফরে যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে থাকা চাঁদাবাজ, ক্যাসিনোবাজ, ধান্ধাবাজদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে লিখতে সাংবাদিকদের ওপর কোনো বাধা নেই। সরকার অভয়ের দরজা খুলে দিয়েছে।