সামুদ্রিক মাছের মধ্যে গলদা চিংড়ি অনেকেরই পছন্দের। শুধু স্বাদ নয়, এ মাছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণেও ভরপুর। গলদা চিংড়িতে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. শরীরের বিভিন্ন সেলের সুরক্ষা করতে গলদা চিংড়ি বেশ উপকারী। এতে থাকা সেলেনিয়াম, খনিজ শরীরের বিভিন্ন সেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, সেলেনিয়াম শরীরকে ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষা করে যা হৃদরোগ ও ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়মিত করে। উচ্চ-ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন বা খারাপ কোলেস্টেরল তখনই হ্রাস পায় যখন উচ্চ-ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন বা ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে। গলদা চিংড়িতে থাকা কোলেস্টেরল শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। এ কারণে এটি হৃদরোগের জন্য উপকারী।
৩. গলদা চিংড়ি খেলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা, অবসাদসহ নানা ধরনের মানসিক রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪. গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক মাছ খেলে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।সেই হিসেবে গলদা চিংড়ি বেশ উপকারী। এছাড়া প্রস্টেট ও ফুসফুসের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও এটি ভূমিকা রাখে।
পুষ্টিবিদদের মতো, গলদা চিংড়ির পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে পেতে এটি সঠিক পদ্ধতিতে রান্না জরুরী। অতিরিক্তি ও লবণ দিয়ে এই খাবার রান্না করা ঠিক নয়।