পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অভিষেকেই চমক দেখিয়েছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিজাদুতে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে লাহোর কালান্দার্স। রোববার (১৩ এপ্রিল) কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিংয়ে এসে ৩১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর লাহোর অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রশংসায় কুড়িয়েছেন রিশাদ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে রিশাদের প্রশংসা করে লাহোর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা যখন রিশাদকে একাদশে নিই, তখন মিডল ওভারে উইকেট নিতে পারার বিষয়টি চিন্তা করেছিলাম। ডেভিড ভিসে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি, রিশাদ ছিল ওই জায়গায় সেরা পছন্দ।’
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পাননি রিশাদ। তবে বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনারকে বেঞ্চে রেখে খেলতে কূলকিনারা করতে পারেনি। ইসলামাবাদের কাছে সেদিন শাহিনরা হেরেছিলেন ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
তাই দ্বিতীয় ম্যাচে টিম কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনতে হয় লাহোরকে। একাদশে সুযোগ পেয়ে যান রিশাদ। রোববার শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও স্যাম বিলিংসের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল লাহোর।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে থেকেই চাপে ছিল কোয়েটা। সপ্তম ওভারে রিশাদ যখন বল হাতে তুলে নেন, তখন ৬২ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দলটি। আক্রমণে এসে নিজের করা প্রথম ওভারে ৭ রান দেন রিশাদ।
পরের ওভারে রাইলি রুশো ছক্কা মেরে ঝড় তোলার আভাস দেন। কিন্তু দারুণ এক গুগলিতে এই প্রোটিয়া ব্যাটারকে সাজঘরের পথ চেনাতে দেরি করেননি রিশাদ।
রিশাদ বাকি ২টি উইকেট পেয়েছেন নিজের শেষ ও দলের ১৩তম ওভারে। প্রথম বলে মোহাম্মদ আমিরকে দারুণ এক লেগ ব্রেকে বোল্ড করেন। এরপর ওভারের চতুর্থ বলে আবরার আহমেদকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারে মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ বানান রিশাদ। তার ঘূর্ণিতেই শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাহোর।