অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আসামি হাবিবুর রহমানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। হাবিবুর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আসামি হাবিবুর রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক ও ১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ উদ্ধার করা হয়। এই টাকার উৎস এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
র্যাব সূত্র বলছে, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের সিলেটের বাসা থেকে চারটি গুলিভর্তি একটি পিস্তল ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। হাবিবুর ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা তুলেছেন, এমন তথ্যও পেয়েছে র্যাব।
গতকাল শুক্রবার ভোরে সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এলাকা থেকে হাবিবুর রহমানকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাবিবুর রহমান দেশ থেকে পালিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। আটকের পর হাবিবুর রহমানকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পরপরই মোহাম্মদপুরে তাঁকে নিয়ে অভিযান চালায় র্যাব। বাসা থেকে স্থায়ী আমানতের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় কাউন্সিলর হাবিবুরের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করে।