ভালোবাসার অশ্রুজলে শেষ বিদায় জানানো হলো পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগমকে। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে তার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
এর আগে রাজধানীর নয়াটোলা জামে মসজিদ, মগবাজার ওয়ারলেস জামে মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
পুলিশের এই ঊর্ধতন নারী কর্মকর্তা গত ৩ মে সরকারী সফরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং মেডেল প্যারেডে অংশ নিতে কঙ্গো যান। ৫ মে রাজধানী কঙ্গোর কিনসাসায় তাকে বহনকারী গাড়িটিকে একটি লরি ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এদিন ভোরে রৌশন আরার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা এবং নিহতের স্বজনেরা মরদেহ গ্রহণ করেন। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ রাজধানীর মহানগর প্রজেক্টে তার বাসভবনে নেওয়া হয়। এ সময় সহকর্মী আর স্বজনের কান্নায় বিমানবন্দর ও বাসভবনে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
রৌশন আরার জানাজায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, চাঁদপুর-৫ আসনের এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম প্রমুখ অংশ নেন।
জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিইসি, আইজিপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, আবদুল মতিন খসরু এমপি, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা, পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল, সপ্তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তারা, বিসিএস ৮৫ ফোরামের সদস্য এবং পুলিশ স্টাফ কলেজের পক্ষে মরহুমার কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল মরহুমাকে ফিউনেরাল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। রৌশন আরার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি স্বামী ও এক সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনাগ্রহী রেখে গেছেন।