বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য বাজারে পাওয়া যায় নানান প্রসাধনী। আসলেই কি সব ঠিক মতো কাজ করে ?
মানসিক চাপ এবং দুষণের কারণে অনেক ক্ষেত্রে ত্বকে বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণও দেখা দেয়। তাই অনেকেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন ‘অ্যান্টি-এইজিং’ পণ্যের কার্যকারিতা সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে উঠেন।
এসব পণ্য আদৌ কার্যকর কিনা এবং কী ধরনের ত্বকে কেমন কাজ করে সে সম্পর্কে জানান, ভারতের ‘অক্সিগ্লো কসমেটিক প্রাইভেট’ লিমিটেড’য়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রচিত গুপ্তা।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “অ্যান্টি-এইজিং ক্রিম এমন কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি যা কোষকে ভেতর থেকে মেরামত করে এবং ত্বক পরিচর্যার রুটিনে তা যোগ করা ভালো ফলাফলও দেয়।”
রেটিনল: রেটিনল সমৃদ্ধ অ্যান্টি এইজিং ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন এ-এর যৌগ। যা ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যৌগ ত্বকের ক্ষয় পূরণ করে, কোষের ক্ষত ও ব্রেক ডাউন কমাতে সহায়তা করে। রেটিনল অ্যান্টি এইজিংইয়ের ক্রিমকে আরও কার্যকর করে।
পেঁপের নির্যাস: পেঁপেতে রয়েছে চমৎকার বৈশিষ্ট্য এর নির্যাস ত্বকের মৃত কোষ মেরে ফেলে এবং পিগমেন্টেশন কমায়। এটি অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমের একটি নিখুঁত উপাদান যা প্রাকৃতিকভাবেই সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত।
হাইড্রক্সি অ্যাসিড: হাইড্রক্সি অ্যাসিড হল অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমের অন্যতম প্রধান উপাদান। এগুলো ত্বকের উপরিভাগ থেকে মৃত কোষ দূর করে। ফলে ত্বক দেখতে মসৃণ ও তরুণ লাগে। হাইড্রক্সি অ্যাসিডের সামগ্রিকভাবেই ত্বকের প্রভাব রেখে তারুণ্য ফুটিয়ে তোলে ও পরিষ্কারভাব আনে।
ভিটামিন ই: ত্বকের প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণের রাজা হল ভিটামিন ই। এটা ত্বকের স্তরকে গভীরভাবে নিরাময় করে, ত্বককে মসৃণ করে, মেরামত করে এবং ক্ষয় পূরণ করে।
এটা অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমের জন্য আবশ্যক উপকরণ। ত্বক আর্দ্র রাখতে, নানাবিধ সমস্যা কমাতে বিশেষত বয়সের ছাপ কমাতে খুব ভালো কাজ করে ভিটামিন ই।
গ্রিন টি’র নির্যাস: গ্রিন টি’র নির্যাসগুলো সাধারণত অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমগুলিতে ব্যবহৃত হয়। এর নির্যাসের যৌগগুলোতে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের যত্নের জন্য অপরিহার্য উপকরণ বলে বিবেচিত।
গ্রিন টি’র নির্যাস বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের সমস্যা কমায়। এছাড়াও ত্বকে প্রাকৃতিক আভা আনে গ্রিন টিয়ের নির্যাস।
জাফরান: জাফরান ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে। জাফরানের অপরিহার্য তেল ক্ষত নিরাময়ে, পিগমেন্টেশন কমাতে এবং এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমের মূল উপাদান হিসাবে জাফরানের নির্যাস থাকা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।
ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করে এন্টি-এইজিং ক্রিম ব্যবহারের পর সারা রাত রাখলে পরদিন সকালে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যাবে।
প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি অ্যান্টি-এইজিং ক্রিম কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের গভীরে গিয়ে ক্ষয় পূরণ করে ভালো ফলাফল দেয়।