বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতায় শঙ্কা জেগেছিল শেষ দিনে খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে শুরু হয় খেলা। দ্রুতই জেমস অ্যান্ডারসন পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে গড়েন ছয়শ উইকেটের কীর্তি। তার প্রাপ্তির ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
সাউথ্যাম্পটনে তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন বৃষ্টির জন্য প্রথম দুই সেশনে খেলা সম্ভব হয়নি। শেষ সেশনে খেলা শুরু হলে ফলোঅনে পড়া পাকিস্তান বাবর আজমের অপরাজিত ফিফটিতে ৪ উইকেটে করে ১৮৭ রান। এরপর দুই দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নিলে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে জেতে ইংল্যান্ড।
সিরিজ শেষে প্রথম ম্যাচ নিয়ে আক্ষেপ বাড়ারই কথা সফরকারীদের। তাদের মুঠো থেকে ম্যানচেস্টারে জয় বের করে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। সেই জয়েই সিরিজ নিজেদের করে নিল জো রুটের দল।
মঙ্গলবার শেষ দিন ৫৯৯ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করেন অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের দারুণ ভোগানো এই পেসার নিজের তৃতীয় ওভারেই অপেক্ষার অবসান ঘটান।
তার বাড়তি বাউন্স হওয়া বলটি আজহার আলির ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে স্লিপে থাকা জো রুটের হাতে। উল্লাসে ফেটে পড়েন ইংলিশ পেসার, হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই চারে ৩১ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক।
টেস্টে ৬০০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে বেশি ম্যাচ লেগেছে অ্যান্ডারসনের। ১৫৬তম ম্যাচে মাইলফলকটি স্পর্শ করেন তিনি। সবচেয়ে কম ১০১ ম্যাচ লেগেছিল শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের। ভারতের অনিল কুম্বলের ১২৪ ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্নের লেগেছিল ১২৬ ম্যাচ।
বাজে সময় কাটানো আসাদ শফিককে ফিরিয়ে ম্যাচে একটু প্রাণ ফেরান রুট। কিন্তু এক প্রান্তে বাবর জমে গিয়েছিলেন। ক্রিজে ছিলেন ফাওয়াদ আলম। ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায় ছিলেন ছন্দে থাকা কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
শেষ ঘণ্টায় খেলা যাওয়ার পর প্রথম বল হতেই ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
বাবর আট চারে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট নেন অ্যান্ডারসন।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ২৬৭ রানের ইনিংস খেলা ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। যৌথভাবে সিরিজ সেরা হন দুই দলের দুই কিপার-ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও রিজওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৫৪.৪ ওভারে ৫৮৩/৮ ইনিংস ঘোষণা
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭৩
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (ফলোঅন) (আগের দিন ১০০/২) ৮৩.১ ওভারে ১৮৭/৪ (আজহার ৩১, বাবর ৬৩*, শফিক ২১, ফাওয়াদ ০*; অ্যান্ডারসন ১৯-৩-৪৫-২, ব্রড ১৪.১-৫-২৭-১, ওকস ৮-২-১৪-০, আর্চার ১৪-৮-১৪-০, বেস ২১-৪-৫৪-০, রুট ৬-০-১৭-১, সিবলি ১-০-৭-০)
ফল: ড্র
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: জ্যাক ক্রলি
প্লেয়ার অব দা সিরিজ: জস বাটলার, মোহাম্মদ রিজওয়ান
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড