পাকস্থলীতে অ্যাসিডের প্রবাহ বেড়ে গেলে তা খাদ্যনালী হয়ে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে।
এটা মোটেও কোনো সুখকর অনুভূতি নয়। আর একেই বলা হয় ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতে, যে কোনো বয়সে এই সমস্যা দেখা দিলেও স্থূলকায়, গর্ভবতী, ধূমপায়ী বা ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকেন এমন ব্যক্তি অথবা অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় এমন ওষুধ গ্রহণকারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
ঘন ঘন এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে অ্যাসিড নিঃসরণের এমন সমস্যা দেখা দিলে যে কেউই এর সমাধান চাইবেন।
‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক সিডনি গ্রিনি বলেন, “অ্যাসিড রিফ্লাক্স’য়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিকর হতে পারে কার্বোনেইটেড পানীয় পান করা।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও গবেষণার ফলাফল মিশ্র। দেখা গেছে, এমন রোগীদের অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কার্বোনেইটেড পানীয় কাজ করেছে। তবে দিনে যদি একের অধিক ‘ক্যান’ কোমল পানীয় গ্রহণ করা হয় তবে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
কোমল বা কার্বোহাইড্রেইট পানীয় গ্রহণের মাত্রা কমাতে চাইলে খাবারের মাঝে এসব পানীয় গ্রহণের পরিবর্তে সাধারণ পানি পান করার পরামর্শ দেন গ্রিনি।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের তথ্যানুসারে, পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়লে অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়তে পারে। কার্বোনেইটেড পানীয়তে রয়েছে কার্বন ডাইঅক্সাইড বুদবুদ যা এই চাপ বাড়ায়। এই চাপ বৃদ্ধির কারণে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালী হয়ে বেরিয়ে আসে। ফলে এর মাত্রা আরও খারাপ হতে পারে।
এই সমস্যা সাধারণত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। শুরুতে এর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে পরে শক্তিশালী ওষুধ এমনকি অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে।
বুক জ্বালা, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, পেট ফোলাভাব, কন্ঠস্বরে পরিবর্তন, সাইনাসের সমস্যা, কানে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া ইত্যাদির অ্যাসিড নিঃসরণের অন্যতম লক্ষণ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।