আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব শান্তিকামী মানুষের জন্য গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজে যে আদেশ দিয়েছে, সেটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এই আদেশকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। আমরা আশা করি, এই আদেশের মাধ্যমে মিয়ানমারের বোধোদয় হবে। মিয়ানমার সরকার এটি মেনে চলবে। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পথ অনেকটাই সুগম হবে।’
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকার উদ্যোগে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ট্রেনে আখাউড়া রেলস্টেশনে নামেন আইনমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি তাদের আমলে ভোট কারচুপির রাজত্ব সৃষ্টি করে ছিল। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) আনা হয়েছে। ইভিএম নিয়ে বিএনপির মহাসচিব যে কথা বলেছেন, এটা তাদের মনগড়া কথা। তাদের অভ্যাসই হলো এসব কথা বলা। বিএনপি চায় না সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন, আখাউড়া পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা আল-আমিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ সাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
কসবা সমিতি, ঢাকার সভাপতি প্রকৌশলী কবীর আহমেদের সভাপতিত্বে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ ভূঁইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী ২৫৬ জন শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা, সনদপত্র ও শিক্ষা উপকরণ এবং ২৭ জন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।