দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় এবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করবে আওয়ামী লীগ।
দলটির শীর্ষনেতাদের কয়েকজন বঙ্গবন্ধু এভিনিউর ওই কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
অন্যবার নিজের নির্বাচনী এলাকায় গেলেও এবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকায়ই থাকছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এবার ঈদের সময়টা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাটাবেন। আর যারা ঈদের সময় ঢাকায় থাকবেন, তারা ইতোমধ্যেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এসেছেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটাই প্রথম ঈদ। তাই নতুন মন্ত্রীদের বেশিরভাগই ঈদ করছেন নিজ নিজ এলাকায়। কেউ কেউ আবার ঈদের দিন সকালে ঢাকায় দলের সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেই নিজ এলাকায় যাবেন।
আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় এবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়েই নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় হবে।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ঢাকায় ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, “আমি ঢাকায় ঈদ করব, আর নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার বাসায়ই করব।”
আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহম্মেদ ভোলায় ঈদ করবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন ঢাকা, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকায় ঈদ করবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ ফরিদপুরে এবং আবদুল মতিন খসরু ঈদ করবেন কুমিল্লায়।
জাফর উল্যাহ বলেন, “বাড়িতে দলের নেতাকর্মী ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ঈদ করব।”
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহাবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি ও আবদুর রহমান বিদেশে ঈদ করবেন। শুধু জাহাঙ্গীর কবির নানক ঈদ করবেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরে, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুরে, শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল চট্টগ্রামে, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম শরীয়তপুরে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে, আহমদ হোসেন নেত্রকোণায় ঈদ করবেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, “দলীয় নেতাকর্মী ও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নিয়ে একসঙ্গে বাড়িতে ঈদ করব।”
আইন বিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এখনও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
মন্ত্রীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গাজীপুরে ঈদের নামাজ পড়ে থাকায় থাকবেন; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঢাকায় ঈদ করবেন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন নরসিংদীর মনোহরদীতে ঈদ করবেন।
দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ঈদ করছেন ঢাকায়।
উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ঈদ করছেন নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে। এছাড়াও দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও বন-পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ ঢাকায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোণায় ঈদের দিন থাকবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ঈদ করছেন ঢাকায় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর নিজ এলাকা কুমিল্লায় ঈদ করবেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার ঢাকায়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু শরিয়তপুর, এস এম কামাল হোসেন খুলনায়, আনোয়ার হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন।