বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই হামলা আবারও প্রমাণ করলো আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস-নির্ভর একটি রাজনৈতিক দল। এরা সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জায় রাখতে চায়।
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বুধবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পটুয়াখালীর বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির দামি আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেঙে তছনছ করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরও বেপরোয়া হওয়ার শিক্ষা পেয়েই ইংরেজি নববর্ষ বরণের মতো দিনে কোনো কারণ ছাড়াই তার (আলতাফ হোসেন) বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এটি করে ছাত্রলীগ জানান দিলো যে, অতীতের বছরগুলোর মতোই ২০২০ সালেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিএনপিকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সারাদেশে ছাত্রলীগের যে পৈশাচিক ও বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে, আলতাফ হোসেনেরর বাসভবনে সংঘটিত হামলা সেটিরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী ছাত্রলীগ-যুবলীগের দৌরাত্ম্যে দেশের মানুষ এখন বাকরুদ্ধ। দোষীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার না করার কারণেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা সারাদেশে খুনখারাবি, ভাংচুর ও জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে। তবে এভাবে নিষ্ঠুর কায়দায় দেশ চালাতে গিয়ে দেশ-বিদেশের স্বৈরশাসকরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারও তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের জন্য ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরুন। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম বন্ধ করুন। নইলে দেশবাসী আপনাদের ক্ষমা করবে না।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
