আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার মত অমানবিক আওয়ামী লীগ সরকার নয়। আমি এতোটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। খালেদা জিয়া আইনগত কারণে হয়তো কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে– এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ সরকার করবে না।’
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতে বিজেপির বিশাল জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি এবার স্পেকুলেশনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে টুইট করেছেন, অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছেন। এই বিজয়ের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আমরা আশা করি।’
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ভারতে গঠিত হতে যাওয়া এবারের মোদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত মোদি সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে। ওই সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতাই এর প্রমাণ। দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধানও হয়েছে। এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং সমাধান প্রচেষ্টা খুব দ্রুত হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করি, এবার যেহেতু নরেন্দ্র মোদি তার দেশের জনগণের আস্থা আরও বেশি করে পেয়েছেন, তাই তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের প্রক্রিয়াটা আরও দ্রুত হবে।’
দলের জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করছে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুবিধাবাদীদের আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সুযোগসন্ধানীরা চিরদিন এটা করে থাকে। দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার– পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠনের তৃণমূল থেকে নেতৃত্বে আনা হবে। কোনোখানে কোনো সুযোগসন্ধানীর স্থান হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় মুজিব বর্ষ পালন এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে– সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, আবদুস সাত্তার, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দেলোয়ার হোসেন, শামসুন্নাহার চাপা, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।