আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগস্টের বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ থাকে। আগস্ট এলেই ষড়যন্ত্র শুরু করে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি। তাই সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলা করতে হবে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে সোমবার বনানী কবরস্থানে তার কবরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই আগস্টেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আগস্টেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মূল টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ওই দিনের গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ রক্তাক্ত হয়েছিল। ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলাও হয়েছিল আগস্টে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের যোগ্যতা, সাহস এবং নেতৃত্বের যে গুণ ছিল তাতে তিনি তারুণ্যের রোল মডেল হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের আঘাতে তার রক্তাক্ত বিদায় হয়।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচিতে খ্যাতনামা ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী, আবাহনীর কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে। এর আগে ধানমণ্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গনে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।