আগামী বছরে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে: অর্থমন্ত্রী

us-dollar-010920-01

আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী তার এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

রিজাভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি আমাদের যদি ভালো প্রজেক্ট থাকে, সরকারের স্পন্সর প্রজেক্ট থাকে, সে ধরনের প্রজেক্টে যদি অর্থায়ন করি, তবে একদিকে আমাদের ঋণ বাড়লো না, আরেকদিকে আমাদের টাকাটা নিজের ঘরেই রয়ে গেল এবং আমরা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলাম।”

রিজার্ভ ব্যবহারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার এখানে কোনো অবস্থান নাই। কারণ আমি টাকা নেবও না, ব্যয়ও করব না। এটি পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমার্শিয়ালি বেনিফিটেড হই, সেভাবে কাজে লাগানো হবে।”

রেমিটেন্সের উপর ভর করেই রিজার্ভ বেড়ে চলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অগাস্ট মাসের ২০ দিনে ১৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের পুরো অগাস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।

আগের মাস জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এতো বেশি রেমিটেন্স আসেনি।

Pin It