আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মানবিক, ব্যবসায় ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রশ্নপত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে ১৯৭৩ এর আদেশে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিগগির আবারও আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দ এবং তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসিতে আয়োজিত এই সভায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ে আলেচনার জন্য ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ বলে গঠিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দের সঙ্গে শিগগির এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ দৃঢ়কণ্ঠে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তাদের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আজ দেশ ও জাতির আকাঙ্খা হচ্ছে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক। এখানে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই। আমরা যদি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করি তাহলে দেশ ও জাতি আমাদের অভিনন্দিত করবে।