আগামী বছর রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে: অর্থমন্ত্রী

Kamal-02

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নির্বাচনের বছরে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ভয়ভীতি কাজ করে। ফলে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যায়। এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। তা ছাড়া নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। আশা করা যায়, আগামী অর্থ বছরে রাজস্ব আহরণ অনেক বাড়বে।

আসন্ন বাজেটে অনেক নতুনত্ব দেখতে পাবেন বলে জানান তিনি। তবে নতুনত্ব কী থাকছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মন্ত্রী।

বুধবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম বা ইআরএফের সঙ্গে ইফতার-পূর্ব এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের মাধ্যমে সংগৃহীত রাজস্ব আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি মাত্র সাত শতাংশ, যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে মুস্তফা কামাল এও বলেন, অর্থবছরের শেষ দুই মাস অর্থাৎ মে ও জুনে রাজস্ব আয় অনেক বাড়ে। ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের টার্গেট পূরণ না হলেও দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা হবে।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। পরে কাটছাঁট করে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর নতুন বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় তিন লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। কর দেওয়ার যোগ্য সবাইকে নেটে আনা হবে। উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস স্থাপন করা হবে। নতুন করদাতা খোঁজার জন্য ১০ হাজার তরুণ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ, আইন-কানুন আরও সহজ করা হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে। আগামী বছর তিন লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আগামী ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী, যিনি আগের মেয়াদে পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।

আলোচনা সভায় ইআরএফের পক্ষ থেকে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য বাজেটে পৃথক বরাদ্দের দাবি জানান ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ প্রস্তাব গ্রহণ করে মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি প্রকল্প তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন এডিপিতে যাতে অন্তর্ভুক্ত হয় সে বিষয়ে সহযোগিতার কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা করা হলে ইআরএফকে রাজস্ব বাজেট থেকে নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়া যাবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসার, সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য দৌলত আক্তার মালা প্রমুখ।

Pin It