তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকার প্রধান।
দুই বছরের কম সময়ে দূতাবাস কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “দূতাবাসের স্বতন্ত্র লাল ইটের ভবনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের ছাপ রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত প্রশস্ত এই কমপ্লেক্সে একটি সুন্দর মিলনায়তনও রয়েছে।”
গত ৩ সেপ্টেম্বর এই কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শেষ হয় বলে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। প্রকল্প শেষে দূতাবাস বরাদ্দের ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
দূতাবাস জানিয়েছে, ৪ হাজার ২৮৩ বর্গমিটার আয়তনের দূতাবাস কমপ্লেক্সের মধ্যে অফিস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, ‘বিজয় একাত্তর’ নামের ২২৯ আসনের উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন মিলনায়তন, স্বয়ংক্রিয় মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম, মসজিদ, ব্যায়ামাগার, বাংলাদেশি সামগ্রীর প্রদশর্ন কেন্দ্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে একটি পাঠাগার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিফলক হিসেবে এই কমপ্লেক্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তি এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ‘অজেয় বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশি স্থাপত্য রীতির আমেজ নিশ্চিত করতে ভবন দুটির বহির্ভাগে লাল ইটের এবং সমতল ছাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
দূতাবাস বলেছে, এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৫ মাস আগেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দুটি বরফাচ্ছন্ন শীতকাল এবং সর্বশেষ কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিকূল প্রভাবে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত ১৮ মাসের জায়গায় ২০ মাসে শেষ হয়েছে।
আঙ্কারায় দূতাবাসে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসৌলো উপস্থিত ছিলেন।