ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। সকাল থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে শত শত শিক্ষার্থী ঢাবি ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছেন। ধর্ষককে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রোকেয়া হলের সামনে প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন করেছেন তারা।
ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দিনভর নানা কর্মসূচি রয়েছে তাদের।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন।
সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে রোববার রাত ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাত থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাহবাগে প্রতিবাদী মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঘটনাস্থলে যান। তারা সেখানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। রাতে মোমবাতি জ্বেলে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন।
মঙ্গলবার সকালে বুকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। রাজু ভাস্কর্যের মূর্তির চোখেও কালো কাপড় বেঁধে দেন তারা। শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
আজ ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মীরা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে টিএসসিতে মিছিলও করেছে ছাত্রদল।