ঈদ খুশির দিন। পূণ্য লাভের দিন। পুরষ্কার লাভের দিন। সন্তুষ্টি অর্জনের দিন। অফুরন্ত দানের দ্বার উন্মুক্ত করার দিন। বড়ত্ব -মহত্ব প্রকাশের দিন। তাই ঈদের কল্পনা করতেই প্রতিটি ঈমানদার নারী- পুরুষের শরীরে সৃষ্টি হয় শিহরণ। পুলকিত হয় তাদের তনুমন। তাই মুমিনের কর্তব্য হল, পবিত্র ঈদের দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পূণ্য ও কল্যাণ প্রাপ্তির জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের বাতলানো পথে ঈদ উদযাপন করা। ঈদ আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচার অনুসরণে পাপ এবং গর্হিত কাজে লিপ্ত না হওয়া।
যেভাবে আপনি ঈদ উদযাপন করবেন :
১.. সাধ্য অনুযায়ী ঈদের রাতে ইবাদত বান্দেগী করা। রাসুল সা ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় দুই ঈদের রাতে ( ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) জাগ্রত থেকে ইবাদত- বান্দেগী করবে, তার কলব সেদিন (কঠিন কিয়ামতের দিন) মরবে না (নিস্তেজ হবে না) । যেদিন ( ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে) সমস্ত কলব মারা যাবে ( নিস্তেজ হয়ে যাবে)। সুনানে ইবনে মাজাহ ১/১২৭, হাদীস : ১৭৮২, বায়হাকী – শুআবুল ঈমান, হাদীস :৩৭১১
১..খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।
২. গোসল করা ।
৩.সামর্থ্য থাকলে নতুন পোশাক পরিধান করা।তা সম্ভব না হলে ব্যবহৃত পোশাকের মধ্যে উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৪. খুশবু ব্যবহার করা।
৫. শরীয়তের সীমার ভিতরে থেকে যথাসম্ভব সজ্জিত হওয়া।
৬. ফজরের নামাজের পর খুব দ্রুত ঈদগাহে উপস্থিত হওয়া।
৭. ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে খুরমা অথবা খেজুর খাওয়া এবং বিজোড় সংখ্যক খাওয়া। খুরমা -খেজুর না থাকলে অন্য কোন মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া।
৮. ঈদুল আজহায় ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া বরং কোরবানির পশু জবাই করে তার গোস্ত দিয়ে আহার করা
৯.ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া। ওজর থাকলে মসজিদে আদায় করা যাবে।
১০ ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া।
১১. ঈদগাহে এক রাস্তায় যাওয়া এবং অন্য রাস্তায় ফিরে আসা।
১২. উচ্চস্বরে তাকবীরে তাশরীক বলা
১৩. অধিক পরিমাণে দান খয়রাত করা। সম্ভব হলে পশুর এক-তৃতীয়াংশ গোশতকে আত্মীয়-স্বজন ও গরিব মিসকিনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া।
১৪.আত্মীয় স্বজনের খোঁজ -খবর নেওয়া।
১৫.তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া এবং তাদের দাওয়াত গ্রহণ করা।
১৬. অসহায়দের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা।
১৭. সর্বোপরি শরীয়াতের সীমারেখার ভেতরে আনন্দ উৎসব করা। -ফাতাওয়া আলমগীরী ১/১৫০, ফাতাওয়ায়ে শামি ৩/৪৭-৫২ ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে এবং ঈদগাহে গিয়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে ঈদগাহ থেকে ফিরে এসে ঘরে নামাজ আদায় করতে পারবে। ফাতাওয়া শামি ৩/৫২।