বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৪০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৭ জনের।
এর মধ্যে গত একদিনে ৩ হাজার ২৪০ জনের দেহে নতুন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, আর মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬১টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি।
নতুন ৩ হাজার ২৪০ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে আরও ১ হাজার ৪৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সেরে উঠলেন ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন।
আরও ৩৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ জন।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
মৃতদের বয়স ও এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণ এদিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়নি। নাসিমা সুলতানা বলেছেন, পরে তারা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবেন।
পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন এবং বাড়িতে ১০ জন।
মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি।
এছাড়া ৬ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে ও ১ জনের বয়স ছিল ১১-২০ বছরের মধ্যে।
মৃত ব্যক্তিদের ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৬২৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে ১১ হাজার ৯১৫ জন রয়েছেন বলে জানান নাসিমা সুলতানা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
গত ১৮ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মহামারী এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।