আজ ২৩ জুলাই করোনায় অর্ধশত প্রাণহানি, শনাক্ত ২,৮৫৬

1595493709.1595320725.Nasima_BG

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৫৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৮০১ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৪১ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চারজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৮০১ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২০৯ জন এবং নারী ৫৯২ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৯৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮২২ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ২৬২ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের ছয়জন, খুলনা বিভাগের সাতজন, সিলেট বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের চারজন এবং রংপুর বিভাগের সাতজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং বাসায় তিনজন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৩৬১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭০১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫৮ জন, খুলনা বিভাগের ১৮৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১০৬ জন, সিলেট বিভাগের ১২৯ জন, রংপুর বিভাগের ১০০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৮ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ছয়জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ২০৮ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৯২টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৮টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৮৫৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার সাতটি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৯৭ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৩৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৫ হাজার ২০১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৮৬০ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৮৫৯ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ১৯ হাজার ৭৯১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩২৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ২০০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৯১ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৮৮ হাজার ৬৭টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৪৫০টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৪৪১ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজার ৯৭৫ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

Pin It