এ অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কানেকটিভিটি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশরা সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব প্রতিবেশীর সঙ্গে কানেকটিভিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কানেকটিভিটি সম্প্রাসারণ করছি। এমনকি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হওয়া রুটগুলো পুনরায় চালু করছি।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোকে আরও উন্নত করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরা এই বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারে।
তিনি বলেন, নেপাল, ভুটান বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
এসব বন্দরে আমদানি পণ্য রাখার গুদাম তৈরির জন্য ভুটান জায়গা চেয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্লাইট চালু করতে সরকারের চেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন নেপালের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশ চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশরা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যাপক পরিসরে কানেকটিভিটি চায় নেপাল। মোটর ভেহিক্যাল চুক্তি কার্যকর এখন।
এসময় দু-দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপালের মানুষ আপনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে। আমরা আপনার দেশকে অনুসরণ করি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নেপালের জন্য অনুসরণ করার মতো একটা উদাহরণ।
এসময় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যেকার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত দেশটিতে ভয়াবহ ভুমিকম্পে বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।
আগামী এপ্রিল মাসে কাঠমান্ডুতে Sagarmatha (mountain) dialogue অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি নিমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।