স্থগিত করা হলো পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য আসবাবপত্র ও আনুষঙ্গিক পণ্য কেনার দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সব বিল। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই বিল আটকে দেওয়া হয়। রবিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় গণপূর্ত অধিদফতরের নির্মাণাধীন ছয়টি ভবনে আসবাবপত্র ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ছয়টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্যাকেজগুলোর প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিচে প্রাক্কলন করায় গণপূর্ত অধিদফতর থেকে অনুমোদন দেওয়া ও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে দাফতরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর জের ধরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব পেমেন্ট বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই কাজের বিপরীতে এখনও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে উঠেছে সমলোচনার ঝড়। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বালিশ হাতে বিক্ষোভ করেছেন গণঐক্য ও নাগরিক পরিষদ নামে দুইটি সংগঠন। এদিকে সোমবার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দুর্নীতি ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখতে চেয়ে তা আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।