আনিসুল হকসহ পাঁচজনের মালামাল জব্দের আদেশ

anisul-hoque-prothom-alo-020920

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ পাঁচজনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের মালামাল জব্দের আদেশ হয়েছে বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমানের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ জানান, ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জাসিম বুধবার এই আদেশ দেন।

আনিসুল হক ছাড়া বাকি চারজন হলেন- কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।

আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, “আদালত ৫ জনের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে। আদেশ তামিলের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখা হয়েছে।”

এ মামলার দশ আসামির মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ পাঁচজন জামিনে রয়েছেন।

াকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাত

( ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাত )

মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গতবছর ১ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার রাহাত। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোর প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।

আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন। সেখানে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম। সেখানে মোট দশজনকে আসামি করে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর পেছনে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম সেদিনই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এরপর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান মতিউর রহমান। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি নতুন করে জামিনের আবেদন করলে মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম তা মঞ্জুর করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে আনিসুল হক, মহিতুল আলম, কবির বকুল, তুষার ও শুভাশীষও সে সময় মতিউর রহমানের সঙ্গে হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন।

কিন্তু যেহেতু তাদের নাম মামলার এজাহারে ছিল না, সেহেতু তাদের জামিন না দিয়ে হাই কোর্ট সে সময় নির্দেশ দিয়েছিল, মামলার অভিযোগ আমলে বা অভিযোগ গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা যাবে না।

Pin It