সাম্প্রতিক সময়ে জীবনবোধ এবং বদলে যাওয়া মানসিকতা নিয়ে যতবার কথা হয়, নিজের স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন না ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি আরও একবার আনুশকাকে ধন্যবাদ জানালেন তাকে ভালো মানুষে পরিণত করায়।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে এক লাইভ সেশনে নিজের জীবনবোধ নিয়ে সবিস্তরে কথা বলেছেন কোহলি। যার বড় অংশ জুড়েই ছিল আনুশকার অস্তিত্ব। কোহলি বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, আনুশকার সঙ্গে তার পরিচয়ের পর থেকেই কীভাবে বদলে যেতে শুরু করেছে তার জীবন।
কোহলি বলেন, ‘আমার নিজের ভিন্ন এক সত্তাকে দেখতে পারার পুরো কৃতিত্ব আমি ওকে (আনুশকা) দিবো। আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ যে, ও আমার জীবনসঙ্গিনী। কারণ আপনি একে-অপরের কাছ থেকেই শিখবেন। আমি আগে অনেক অন্তর্মুখী মানুষ ছিলাম, ব্যবহারিক জীবন নিয়ে ভাবতাম না। আপনি যখন অন্য একজনকে দেখেন এবং জানেন যে আপনার সঙ্গী বিষয়গুলো অন্যভাবে দেখছে, তখন সেটা নিজের মধ্যেও চলে আসে।’
‘এ জিনিসগুলোই আমার মানসিকতা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। আমার নিজের ভালো-মন্দ বোঝার জ্ঞানটাও অত ছিল না। সে আমাকে বৃহৎ পরিসরে সবকিছু বুঝতে শিখিয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার দায়িত্ব, যাদের সঙ্গে আমি আছি, যা আসবে সামনে- সবকিছুই। মানুষের জন্য একটা ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করে দেয়া, সঠিক পথে সবকিছুর করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করার বিষয়টা আনুশকার কাছ থেকেই এসেছে।’
‘আমি সবসময় ওকে পুরো কৃতিত্ব দেবো। আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আপনার জীবনে কিছু একটা ভালো হয়েছে। তখন আপনাকে এটাও মেনে নিতে হবে, ঠিক এই কারণে আমি এখন আগের চেয়ে ভালো বুঝতে পারছি। আমার ক্ষেত্রে যদি এটা না হতো, তাহলে আমি এখন ভিন্ন মানুষ থাকতাম। ওর মতো কারও সঙ্গে যদি দেখা না হতো, তাহলে আমার অনেক কিছুই অপূর্ণ থাকত।’
এসময় আনুশকার সঙ্গে বিয়ের কারণেই তিনি একজন ভালো মানুষে পরিণত হয়েছেন জানিয়ে কোহলি বলেন, ‘সে মানুষ এবং পরিস্থতি খুব ভালো বুঝতে পারে। আমাকেও অনেক কিছু বুঝতে শিখিয়েছে। ওর মতো একজন জীবনসঙ্গিনী পাওয়া অনেক বড় আশীর্বাদ। এর ফলেই আমি একজন ভালো মানুষে বদলে গিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে একটি টিভি কমার্শিয়ালের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল কোহলি-আনুশকার। প্রায় পাঁচ বছর প্রেম করার পর ২০১৮ সালে ইতালিতে ধুমধাম করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এই তারকা জুটি। তারপর থেকে বেশ সুখের সংসারই উপভোগ করছেন তারা।