দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা সেরেছিলেন বোলাররা। বাকিটা সহজেই সেরেছেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিয়েছেন এবারের আসরে প্রথম জয়।
কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়ামে শনিবার একপেশে ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতেছে ফাফ দু প্লেসির দল।
দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির পর ১ রানে চার উইকেট হারিয়ে দিশা হারানো আফগানিস্তান আর কক্ষপথে ফিরতে পারেনি। ৪৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩৪ ওভার ১ বলে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় টস হেরে ব্যাট করতে নামা গুলবাদিন নাইবের দল। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এতে সবচেয়ে বড় অবদান লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের।
ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১২৭ রানের লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের ফিফটিতে ১১৬ বল বাকি থাকতে সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় তারা।
আফগানিস্তান ৫.৫ ওভারে ৩৩ রান তোলার পর নামে প্রথম দফার বৃষ্টি। ২৫ মিনিট পর খেলা শুরু হলে ছেদ পড়ে রানের গতিতে। খানিক পর কাগিসো রাবাদার করা নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে হজরতউল্লাহ জাজাই ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দলীয় স্কোরে ১৭ রান যোগ হতে ক্রিস মরিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান রহমত শাহ।
২০ ওভার শেষে দলটির স্কোর যখন ৬৯/২, তখন আবার বৃষ্টি। সোয়া এক ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৮ ওভারে।
খেলা শুরুর প্রথম ওভারেই আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োর বলে স্লিপে ধরা পড়েন হাশমতউল্লাহ শহিদি। পরের ওভারে জোড়া আঘাতে ওপেনার নুর আলি জাদরান ও আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন তাহির। এর পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করেন ফেলুকোয়ায়ো।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দলটি শেষ পর্যন্ত ১২৫ পর্যন্ত যায় নয় নম্বরে নামা রশিদ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তাহিরের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরার আগে ২৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেন রশিদ।
ছোট রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল সাবধানী। নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছিলেন হাশিম আমলা। থিতু হওয়ার পর শট খেলেন ডি কক। রানের গতি বাড়ান তিনিই। ৫৮ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ।
কিপার-ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ১০৪ রানের জুটি ভাঙেন নাইব। ৮ চারে ৭২ বলে ৬৮ রান করেন ডি কক।
প্রমোশন দিয়ে তিনে ফেলুকোয়ায়োকে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে আসেন এই অলরাউন্ডার। টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৮৩ বলে চারটি চারে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আমলা।
দারুণ বোলিংয়ে চার উইকেট নেওয়া অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার তাহির জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫ (জাজাই ২২, জাদরান ৩২, রহমত ৬, শাহিদি ৮, আসগর ০, নবি ১, ইকরাম ৯, নাইব ৫, রশিদ ৩৫, হামিদ ০, আফতাব ০*; রাবাদা ৮-১-৩৬-১, হেনড্রিক্স ৫-১-২৫-০, ফেলুকোয়ায়ো ৮-১-১৮-২, মরিস ৬.১-২-১৩-৩, ইমরান ৭-০-২৯-৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ৪৮ ওভারে ১২৭) ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (আমলা ৪১*, ডি কক ৬৮, ফেলুকোয়ায়ো ১৭*; আফাতাব ৫-১-১৬-০, হামিদ ৪-১-১১-০, রশিদ ৭-০-৪৫-০, নাইব ৬-০-২৯-১, নবি ৬.৪-০-২৯-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমরান তাহির