আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি অনুষ্ঠানে বন্দুক ও রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।
আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদুল্লাহ মায়ার রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবারের এ হামলার পর এ পর্যন্ত এম্বুলেন্সে করে আনা ২৭ জনের মৃতদেহ এবং আহত ২৯ জনকে পেয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে কাতারের দোহায় মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হওয়ার পর কাবুলে এটিই প্রথম বড় ধরনের হামলা। তবে তালেবান এক বিবৃতিতে এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
আবদুল্লাহর মুখপাত্র ফ্রাইদুন কাওয়াজুন ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, “বিস্ফোরণের আওয়াজে হামলা শুরু হয়। যেন ওই এলাকায় একটি রকেট আঘাত হেনেছে। আবদুল্লাহ সহ আরো কয়েকজন রাজনীতিবিদ হামলা থেকে অক্ষতভাবে রেহাই পেয়েছেন।”
সম্প্রচারমাধ্যম টোলো নিউজে প্রচারিত ফুটেজে হামলাস্থলে গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং লোকজনকে ছুটোছুটিও করতে দেখা গেছে।
তালেবানের হাতে বন্দি হয়ে ১৯৯৫ সালে নিহত হওয়া জাতিগত এক হাজারা নেতা আবদুল আলি মাজারির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা।
আবদুল্লাহ ২০১৪ সাল থেকে আফগানিস্তানের কোয়ালিশন সরকারের প্রধান নির্বাহী। তিনি এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এক টুইটে এ হামলার ঘটনাকে মানবতা এবং আফগানিস্তানের জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে নিন্দা করেছেন।