বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এই আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অমিত সাহাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়; সেই কক্ষটি অমিত সাহার। তার বিরুদ্ধে আবরারকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলায় তাকে আসামি না করায় এবং তিনি গ্রেফতার না হওয়ায় সমালোচনা চলছিল।
মঙ্গলবার বুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হেলালউদ্দিন বলেন, ‘২০১১ নম্বর কক্ষটি অমিত সাহার। ঘটনার সময় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে বেদম মারধর করেন। পরে তিনিসহ অন্যরা বেরিয়ে যান।’
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরারকে রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার রাতে নিহত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই রাতেই হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আবরার হত্যার ঘটনায় অমিত ছাড়াও মিজানুর রহমান ওরফে মিজান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।