অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিবকে রুখতে প্রস্তুত তারা। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি দারুণ খেলছেন। তাকে নিয়ে অজি কোচের তাই পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে। এখন টাইগারদের বিপক্ষে ল্যাঙ্গারের শিষ্যদের তা প্রমাণের পালা। অস্ট্রেলিয়ার ফাঁদ বলতে পেস আক্রমণ; তা জানতে বাকি নেই বাংলাদেশ দলের। সাকিব তাই জানিয়ে দিয়েছেন তারাও প্রস্তুত অজিদের চ্যালেঞ্জ নিতে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জায়গা উদ্ধার করেন। বিশ্বকাপে তার ভালো খেলার চাপ ছিল। প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি এবং পরের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সাকিব প্রমাণ করেছেন তিনিই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। তাতে কোন সন্দেহ নেই। সঙ্গে বা-হাঁতি স্পিনে দারুণ করছেন সাকিব। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার প্রমাণ করে দিয়েছেন, তার দিনে যে কোন দলকে একাই হারাতে পারেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার তাই বলেন, ‘আমরা সাকিবকে কিভাবে থামাতে হয় তার বুদ্ধি পেয়ে গেছি। আসল ব্যাপার হলো সাকিব খুবই ভালো খেলছে। আমার মতে, সাকিব যে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। দারুণ এক ক্রিকেটার সাকিব।’
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। দারুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এরপর হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। যারা কিনা পাকিস্তানকে দুর্দান্তভাবে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে। সাকিব-সৌম্যরা ফর্মে আছেন। মুস্তাফিজ ভালো করছেন। সর্বশেষ ম্যাচে লিটন দাস দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তাই চিন্তা না করে উপায় নেয় অজিদের।
বাংলাদেশও চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে প্রস্তুত। তাদের বিপক্ষে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাকিব, ‘শেষ চার ম্যাচে দারুণ কিছু পেস বোলারের মুখোমুখি হয়েছি আমর। যে দলের বিপক্ষেই খেলেছি তাদের কম করে দু’জন বোলার ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে পেস দিয়ে বোলিং করেছে। আমরা তাই গতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’
অস্ট্রেলিয়ার পেস নিয়ে চিন্তিত নয় বলে জানান সাকিব, ‘আমরা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছি। দুই দলেই ১৪০-১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা পেসার আছেন। গতির বল সামলাতে ব্যাটিংয়ের বেসিক বিষয়গুলো প্রয়োগ করলেই ভালো করা সম্ভব। বাংলাদেশ দলের সেই সামর্থ্য আছে। আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’