হালকা যানবাহন চলাচলের দুই লেনসহ ঢাকা-সিলেট ছয় লেন (৪+২) মহাসড়ক নির্মাণ কাজের প্রকল্প আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে রয়েছে। অথচ চলতি বছরের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প অনুমোদন হলে জুলাই থেকেই অর্থ ছাড় করতে প্রস্তুত রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। কিন্তু এ বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন না হলে তা এক বছর পিছিয়ে যাবে। এতে নতুন প্রকল্প চলে আসতে পারে এবং অর্থ অন্য খাতে চলে যেতে পারে। ফলে এ প্রকল্পটিতে এডিবির অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে সেপ্টেম্বরে চুক্তি সই হবে। এডিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মহাসড়কের নকশা অবশ্যই জুনের মধ্যে অনুমোদন হতে হবে। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, প্রজেক্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আরো দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে।
এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদনের তাগাদা দেন এবং জুনের মধ্যে অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে এডিবি এ খাতে অর্থ বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনো তা সম্ভব হয়নি। এ বছর যেন এ ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ প্রকল্পটি বাতিল না হয় সেজন্য এডিবি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে, ১৪ হাজার ১৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এডিবির সদস্যপদ লাভের পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।