অবিলম্বে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আমাজনের অগ্নিকাণ্ড বন্ধ ও সুন্দরবন রক্ষাসহ আট দফা দাবিতে নাগরিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ ১৬টি পরিবেশবাদী সংগঠন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আমাজন থেকে সুন্দরবন, পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার হোন’ শীর্ষক এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে বিশ্বের জলবায়ু রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সদস্য অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, অধ্যাপক আনিরুল আলম, পুরান ঢাকার পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, গ্রিন ভয়েসের সংগঠক হীরক সরদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাজন কী প্রাকৃতিক কারণে পুড়ছে নাকি মানবসৃষ্ট কারণে পুড়ছে খতিয়ে দেখতে হবে। পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন আমাদের মোট অপিজেনের ২৫ ভাগ সরবরাহ করে। অথচ সেই আমাজনকেই ধ্বংস করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক কারণে আমাজনে আগুন লাগানো হয়েছে। আজ বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর লোলুপ দৃষ্টি আমাজনের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর পড়েছে। নিজেদের স্বার্থের কারণে তারা আজ আমাজনকে ধ্বংস করছে। একইভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে আমাজনের মতো সুন্দরবনও ধ্বংস হয়ে যাবে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। মানুষসহ বিশ্বের সব প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমাজন, সুন্দরবনসহ বিশ্বের অন্যান্য বনভূমি, জলাশয় ইত্যাদি রক্ষায় বিশ্বের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবেশ রক্ষায় এখনই সোচ্চার না হলে শিগগিরই বিশ্বের জলবায়ু ধ্বংসের মুখে পড়বে। এ সময় তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সরকারকে বিশ্বে নজির স্থাপন করতে হবে।
বক্তব্য শেষে তিনি সংগঠনগুলোর আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আমাজনের অগ্নিকাণ্ড বন্ধ করা, কারণ বের করে এর স্থায়ী সমাধান করা, সব দেশের অংশগ্রহণে আমাজন রক্ষায় বৈশ্বিক অর্থ তহবিল তৈরি করা, আমাজনে পুনঃবনায়ন ও পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে বনায়ন বৃদ্ধির বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অবিলম্বে বন্ধ করে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের সব বন যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা।