বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দুই টেস্ট হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। সেই উইন্ডিজদের সাথেই অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল শ্রীলঙ্কা। বিপরীত ধর্মী অবস্থানে থেকে সিরিজ শুরু করলেও ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্টের পর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সমান অবস্থানেই রয়েছে। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে সমানতালে লড়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ দিন লড়াইয়ের পর ম্যাচ ড্র হয়েছে।
ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়েছেন। লঙ্কা সফরে টাইগারদের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন, এ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা খুব জরুরী। আগামী ২৯ এপ্রিল শুরু হতে চলা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এমন নিষ্প্রাণ উইকেট থাকবে না বলেই বিশ্বাস সুজনের। চাপ জয় করে পারফর্ম করেছেন ক্রিকেটাররা, যা দেখে তৃপ্ত বিসিবির এ পরিচালককে।
সুজন বলেছেন, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে তাতে আমি খুব খুশি। আমি বিশ্বাস করি ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারবো। এখান থেকে ভালো খেলবে, পরের ম্যাচ, এরপর জিম্বাবুয়ে যাবো আমরা। আমরা যেন একটা ভালো টেস্ট টিম হিসেবে গড়ে উঠতে পারি।’
এভাবেই জয়ের রথে ফিরবে বাংলাদেশ দল। সুজন বলেন, ‘আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা উপর থেকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে। তবে একটা সময় আসবে যখন আমরা নিয়মিত টেস্ট ম্যাচ জিতবো, আমাদের জন্য ধারাবাহিকতা খুব জরুরী।’
প্রথম টেস্টে উইকেট ছিল পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব। সুজনের ধারণা, দ্বিতীয় টেস্টে উইকেট পরিবর্তন হবে। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি এরপরে আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে। সেটা এখনই বলা যাবে না, উইকেট না দেখে। কালকে আমরা মাঠে যাবো আশা করি, সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানিনা। হয়তো স্পিন উইকেট হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ফ্ল্যাট উইকেট হবে না বলে আমি মনে করি। আমরা আশা করছি পরের ম্যাচে এর থেকে ভালো উইকেট পাবো।’
চাপের মুখে মুমিনুলদের পারফর্ম করার ছবি মনে ধরেছে সুজনের। সাবেক এ অধিনায়ক বলেছেন, ‘যেভাবে আমরা চাপের মধ্যে ছিলাম বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে ভালো করতে পারিনি, সেখান থেকে কতটুকু ভালো করবো প্রশ্ন ছিল। যেভাবে তারা গরমকে যেভাবে জয় করেছে, মাঠে তাদের মানসিকতা, চেষ্টা দেখে আমি খুশি।