আম দিয়ে তৈরি শরবত বা জুস পান করতে হয় দিনে; রাতে নয়।
পুষ্টি উপাদান পুরোপুরি গ্রহণ করতে চাইলে আস্ত ফল খাওয়া উপকারী। তবে গরমে শীতল ফলের রস পান মন প্রাণ জুড়ায়।
আর সেটা যদি হয় আম, তবে তো কথাই নেই।
দেহ সচল রাখতে আর্দ্রতা রক্ষা করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে পানির বিকল্প কিছুই নেই। তবে তাজা ফলের রস গ্রহণ করা গরমে দেহের আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি পুষ্টি উপাদান পেতেও সহায়তা করে।
সাধারণত আমের শাঁস, পানি ও বরফ কুচি মিলিয়ে তৈরি করা হয় এই জুস বা পানীয়।
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন: “আমের রস অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। এতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম যা সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে”- হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ তানিয়া মেহরা।
‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’ অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম আমের জুসে ১৩.৭ মি.গ্রা. ভিটামিন সি থাকে।
হজমে সহায়তা করতে পারে: আমের রসে থাকা খাদ্য-আঁশ হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত পেট পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে: ভিটামিন এ সমৃদ্ধ আম দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কর্নিয়া স্বচ্ছ রাখে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে: আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষ সুরক্ষিত রাখে এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমায়- জানান মেহরা।
এতে জ্ঞানীয় দক্ষতা হ্রাস উপশম করে এবং স্নায়ুবিক জটিলতা যেমন- স্মৃতিভ্রংশ রোগ রোধ করতে সহায়তা করে।
দেহ আর্দ্র রাখে: আমের জুস সতেজকারক ও আর্দ্রতা রক্ষাকারী। এতে দেহের তরলের ভারসাম্য বজায় রেখে শরীরকে সচল রাখতে সহায়তা করে।
শক্তি যোগায়: ইউএসডিএ অনুযায়ী- ১০০ মি.লি. আমের জুসে ১১.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট পাওয়া যায়। এতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা যা শক্তি যোগায়, শরীরচর্চা পরে গ্রহণ করলে শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করে।
যেসময় আমের জুস গ্রহণ করতে হয়
“সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আমের জুস পান করা সবচেয়ে ভালো। দিনের প্রথমভাবে এই পানীয় পানে বিপাকক্রিয়া দ্রুত কাজ করা শুরু করে। যা প্রাকৃতিকভাবে শক্তি যোগায়”- বলেন তানিয়া মেহরা।
এছাড়া সারাদিন দেহ আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
দিনের শেষে বা ঘুমের আগে এটা গ্রহণ করা ঠিক না। কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে ঘুমে সমস্যা হতে পারে।
শক্তি যোগাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমের রস উপকারী। তবে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় পরিমিতি খাওয়ার পরামর্শ দেন, এই পুষ্টিবিদ।
আর তৈরির সময় অল্প পানি ও চাহিদা অনুসারে বরফ দিতে হবে। আলাদা করে চিনি যোগ করা মানেই হল অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ।