দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমী ফল রাজধানীর পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিতে বিনা মাশুলে ফল পরিবহন সেবা দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শনিবার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি থেকে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ৪০ হাজার লিচু পরিবহনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিনা মাশুলে কৃষিপণ্য পরিবহনে ডাক অধিদপ্তরের কৃষকবন্ধু কর্মসূচির পর ফল পরিবহনে নতুন এই সেবাটি চালু করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, “কোভিড -১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। এছাড়াও বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দ্রুত পৌঁছানোসহ নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করা হয়।”
“এরই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনে নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করা হয়।”
মোস্তাফা জব্বার জানান, নতুন এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রয়লব্ধ পণ্যের টাকা পেয়ে যাবেন। এর ফলে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন।দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত রাজধানীফেরৎ ডাক অধিদপ্তরের গাড়িগুলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে । এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই সেবা চালু করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।