চট্টগ্রামে আরএফএল ও ইউনিলিভারসহ কয়েকটি কোম্পানির গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরীর পাহাড়তলী থানার কর্ণেল হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের ১৫টি গাড়ি।
জানা গেছে, ইস্পাহানী গ্রুপ অব কোম্পানির ভিক্টোরিয়া জুট মিলের খালি জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছিলো বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার, ইউনিটেক্স, আরএফএলসহ আটটি প্রতিষ্ঠান। বিকেলে আরএফএলর গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশনের ১৫টি গাড়ি অগ্নি নির্বাপন কাজে অংশ নিয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বলেন, একটি গুদামে তুলা রয়েছে। সেই গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ শনাক্ত করতে শনিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, ফায়ার সার্ভিসের বন্দর, আগ্রাবাদ, নন্দন কানন, কুমিরা ও বায়েজিদ ইউনিটের ফায়ারম্যানরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার কারণে ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, আগুনে মূলত আরএফএল, ইনিলিভার ও ইনিটেক্সের গুদামজাত পণ্যসামগ্রী পুড়ে গেছে। আরএফএলের গুদামে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী, ইউনিলিভারের ক্যামিকেল ও ইউনিটেক্সের ইলেকট্রোনিক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিলো। এসব সামগ্রী পুড়ে গেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কাউন্সিলর নেছার আহমদ মঞ্জু সমকালকে বলেন, ইস্পাহানীর মালিকানাধীন ভিক্টোরিয়া জুট মিলে ভেতর থাকা আরএফএলের গোডাউনে বিকেল ৫টার দিকে আগুন লাগে। গোডাউনের ভেতর প্লাস্টিকসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোডাউন এলাকা। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ইউনিলিভার ও ইউনিটেক্সের গুদামেও। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরএফএল। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে শতকোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে।
পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ সমকালকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়নি। তবে কেউ যাতে কোন ধরনর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে এবং কোন মালামাল যাতে চুরি না হয় সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ রাখা হয়েছে।