আরামদায়ক না হলেও ঈদযাত্রা যেন স্বস্তির হয়, এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঈদ এলেই লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি নামানো হয়, এবার যেন তা না হয়। লক্কড়ঝক্কড় বাস নামালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর কার্যালয়ে ঈদযাত্রায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীজন সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। গত ঈদযাত্রার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় কিছুতেই সড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলতে পারবে না। গাড়ি যেন শৃঙ্খলা মেনে চলে। তিনি পরিবহন মালিকদের অনুরোধ করেন, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না।
মন্ত্রী জানান, এবার মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা কম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কারণ তিনটি পুরনো সেতু। গত মার্চে কাঁচপুরে নতুন সেতু চালু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিন সেতু চালু হলে আর যানজট হবে না বলে আশাবাদী তিনি।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা অংশে চার লেনে উন্নীত করার কাজকে চিহ্নিত করেছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৫ মে চন্দ্রা ও কোনাবাড়ীতে ফ্লাইওভার উদ্বোধন হবে। এ মহাসড়কে আরও দুটি সেতু ও আন্ডাসপাস উদ্বোধন করা হবে। এরপর আর যানজট থাকবে না বলে আশাবাদী মন্ত্রী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা অংশে বিআরটির কাজ চলছে। পুরো রাস্তাই ভাঙাচোরা। দুই পাশে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ওবায়দুল কাদেরও স্বীকার করেছেন, মহাসড়কের এ অংশে দুর্ভোগ হতে পারে।
সভায় বিভিন্ন সংস্থা ঈদযাত্রাকে নিরাপদ করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে।এতে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবহন মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।