হয়তো হ্যাঙ্গার পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়তে পারে।
বাতিল বা পরা হয় না এমন পোশাক বাদ দিয়ে আলমারিতে জায়গা বাড়ানো যায়। তারপরও কিছু বিষয় থাকে যে কারণে কাপড় দেখতে অগোছালো লাগে।
আর তাক ভর্তি কাপড়গুলোর দিকে তাকিয়ে যদি মনে হয় পরার মতো কিছু নেই তবে আলমারি গোছানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় নজর দেওয়া প্রয়োজন পড়ে।
গুছিয়ে রাখার জন্য সাধারণ পণ্য ব্যবহার
প্লাস্টিকের ঝুড়ি, ড্রয়ার বা এই ধরনের পণ্য কিনে আলমারির শেলফ ভর্তি করাটা বোকামি। যদিও অনেকে মনে করেন কাপড় রাখার জায়গায় আলাদা ঝুড়ি ব্যবহার করা হয়ত উপকারী।
তবে নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘নিট অ্যান্ড অর্ডিনারি’র প্রধান সমন্বয়ক সারিট ওয়াইস মনে করেন, এতে উল্টো ফল হয়।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “প্রত্যেকের গোছানোর ঢং আলাদা। একেকজনের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে আলামরির তাক ও কাপড় রাখার জায়গার আকার।”
কেউ যদি সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বলে আলামারির জন্য আলাদা কাপড় রাখার ঝুড়ি কিনে নিয়ে আসেন তবে সেটা শুধু জায়গাই দখল করবে না বরং কাপড় রাখতে গিয়েও সমস্যা হবে।
এজন্য ওয়াইস পরামর্শ দেন, “এরকম আলাদা ঝুড়ি যদি কিনতেই হয় তবে মূল্যহ্রাসের পেছনে না ছুটে বরং আলমারির তাকের দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতার মাপ নিয়ে সঠিক মানের জিনিস কিনতে হবে।”
মোটা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করা
আলমারিতে কাপড় ঝুলিয়ে রাখার জায়গাটা অনেক সময় ছোট হয়। এক্ষেত্রে ভুল হ্যাঙ্গার ব্যবহার করলে জায়গা আরও কমে যাবে।
ওয়াইস বলেন, “অনেকেই খরচ রোধ করতে দিনের পর দিন একই রকম হ্যাঙ্গার ব্যবহার করে যান। তবে বেশিরভাগ হ্যাঙ্গারই হয়ত অপ্রয়োজনীয় জায়গা দখল করে বসে আছে।”
তাই মান সম্মত চিকন হ্যাঙ্গার কেনার পরামর্শ দেন তিনি। এগুলো শুধু জায়গা দখল করাই কমাবে না বরং কাপড়ের আকারও ঠিক রাখবে।
বদোভ্যাস চালিয়ে যাওয়া
প্রতিদিন বাছাই করে কাপড় পরতে গিয়ে আলমারি থেকে একাধিক পোশাক নামানো হতে পারে। আর পুনরায় গুছিয়ে না রাখলে পোশাকগুলোর জায়গা হয় চেয়ারে নয়তো মেঝে বা বিছানার কোনায়।
এই বিষয়ে একই প্রতিবেদনে টেক্সাসের ‘সেলিব্রেটি হোম অর্গানাইজার’ রিয়া স্যাফোর্ড বলেন, “নিজের বদোভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। কাপড় আলমারি থেকে বের করার পর বাইরে ফেলে রাখার অভ্যাসটা বাজে।”
এই কারণে তিনি পরামর্শ দেন, “বের হওয়ার আগে তাড়াহুড়া করে কাপড় বাছাই না করে, হাতে সময় থাকতে কী পরবেন সেটা সিন্ধান্ত নিয়ে রাখুন।”
“আরেকটা বিষয় হল- চেয়ার বা বিছানায় যদি এখনও কোনো কাপড় পড়ে থাকে তবে এখনই সেটা গুছিয়ে আলমারিতে রাখুন”- বলেন তিনি।
নিয়মিত না গোছানো
ব্যবহার করা হয় না এরকম কাপড় যত বেশি আলমারিতে থাকবে ততই প্রয়োজনীয় পোশাক খুঁজতে দেরি হবে।
তাই নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক অন্দরসজ্জাকর ও ‘ড্রিমহোমমেইকিং ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এলিজাবেথ গ্রেস বলেন, “যদি মনে হয় আলমারিতে কাপড় বেশি হয়ে গেছে তবে অপ্রয়োজনীয় পোশাক বাছাই করে দান করার ব্যবস্থা করুন।”
আর সময় করে নিয়মিত এই কাজ করলে আলমারি অপ্রয়োজনীয় কাপড়ে ভর্তি থাকবে না।
উল্লম্ব স্থানের সঠিক ব্যবহার না করা
ওপর থেকে নিচে লম্বা জায়গার ব্যবহার ঠিক মতো না করলে পোশকের জঞ্জালে পরিণত হতেই পারে আলমারির ভেতরটা।
গ্রেস বলেন, “তাক ও রডে পোশাক এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ সময়ের সাথে সাথে জমতে থাকে। ফলে দেখতে মনে হয় অগোছালো। এই সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত তাক বা হুক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঝুলিয়ে কাপড় রাখতে পারলে আলমারির ভেতর খাড়া জায়গা পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়।
অপ্রয়োজনীয় কাপড় বাদ দেওয়া, চোষক ধর্মী হুক ব্যবহার করে কাপড় রাখার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা পাওয়া যায় তেমনি দেখতেও গোছালো লাগে।