আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কিংবা দলের কোনো সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা দুর্নীতি করলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে বলা আছে। অপরাধ করে আওয়ামী লীগে কেউ পার পাবে না।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে এ সভা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে অপকর্ম হয়নি, কেউ করেনি- এটা বলি না। কিন্তু অপকর্ম হলে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এটা অন্তত আওয়ামী লীগে হয়। অন্য কোনো দল ব্যবস্থা নেয় না। বিএনপিও ব্যবস্থা নেয় না। আওয়ামী লীগে এই পলিটিক্যাল কনসার্ন আছে।
ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে কোনো কথাই বলব না। একটি শব্দও বলব না। প্রতিদিন আপনারা (সাংবাদিক) এ প্রশ্নটা কেন করেন? এ নিয়ে তো বলেই দিয়েছি- এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখছেন। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাইডলাইন দিচ্ছেন।
এর আগে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দলের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে ১২টি উপকমিটি গঠন করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ সব শাখা কমিটির সম্মেলন শেষ করতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে সাংগঠনিক সফর করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা সম্মেলন করতে জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২০ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। পর দিন ২১ ডিসেম্বর কাউন্সিল অধিবেশন হবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের শাখা সম্মেলনগুলোর বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। অন্য শাখাগুলোর মতোই ঢাকা মহানগরের সম্মেলনও নির্দেশনা অনুযায়ী হবে।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, গোলাম রাব্বানী চিনু, আনোয়ার হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, আজমত উল্লা খান প্রমুখ।