আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্প-রুহানির পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

23322a9f861603a2726d26f7893ada6a-5d8e456c75767

চলমান সংকট নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ইরানের নেতা বলছেন, ওয়াশিংটন প্রস্তাব দিয়েছে আলোচনায় বসলে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, আলোচনায় রাজি হওয়ার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব তিনিই নাকচ করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আলোচনায় বসলে ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিদ্যমান ‘বৈরী পরিস্থিতি’ বিবেচনায় এ প্রস্তাবে এখনই সাড়া দিচ্ছে না তেহরান। আজ শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর রুহানি এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্ক সফরকালে জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পীড়াপিড়িতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সে সময়ই তাঁকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

নিজস্ব ওয়েবসাইটে হাসান রুহানি বলেন, ‘কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, তা তর্কসাপেক্ষ বিষয়। যদিও তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা। ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত; কিন্তু তা এই নিষেধাজ্ঞা ও এ সংশ্লিষ্ট চাপের পরিবেশে নয়।’

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মতে, নিষেধাজ্ঞা, বৈরী পরিস্থিতি ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির পাশাপাশি আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ছয় জাতি পরমাণু চুক্তির বাকি পাঁচ দেশ যদি আলোচনায় বসেও, তাহলেও এর ফল নিয়ে বিরাট অনিশ্চয়তা থেকে যাবে।

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন। ট্রাম্প টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ইরান চেয়েছিল তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নিই। আমি বলেছি, অবশ্যই না।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

সৌদি আরবের জ্বালানি তেলের স্থাপনায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এখনো কাটেনি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি বহাল রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় মিত্ররা চায়, এ চাপ অব্যাহত থাকুক। যদিও সৌদি আরব তার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে।

Pin It