‘আয়ের অর্থ ব্যয় হবে অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে ’

e-samakal-5ebc2c40bbd0c

সোহানা সাবা। অভিনেত্রী ও মডেল। ঘরে বসে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিরিজ ‘নয়নতারা হাউজিং লিমিটেড’ পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব তিনি। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

‘নয়নতারা হাউজিং লিমিটেড’ সিরিজের পরিকল্পনা করেছিলেন কী করে?

অনেকদিন ধরেই আমি আর শাওন আপু [ মেহের আফরোজ শাওন] একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে আমরা সবাই ঘরবন্দি হলাম। ভাবলাম এ সময় কী করা যায়। তখনই এ সিরিজটির পরিকল্পনা করেছি। সঙ্গে পেলাম নাজনীন হাসান চুমকীকে। তিনজন মিলে প্রজেক্টটি দাঁড় করলাম। যে, যার বাড়ি থেকে সিরিজটির শুটিং করছি। এভাবে শুটিং সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। এই সিরিজের গল্প রাজধানীর একটি বহুতল ভবনকে নিয়ে, যার নাম ‘নয়নতারা হাউজিং লিমিটেড’। এর প্রতিটি ফ্ল্যাটে থাকা মানুষের একেক রকম ভাবনা, বৈশিষ্ট্যও আলাদা। চারটি পর্ব প্রচারের পর মনে হলো, ঘরবন্দি গল্পে দর্শকের বেশ আগ্রহ আছে।

কত পর্ব পর্যন্ত এ সিরিজটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন?

ঘরবন্দি অবস্থা যতদিন থাকবে, ততদিন এটি নির্মাণের ইচ্ছা আছে। এরই মধ্যে আরও তিন পর্ব ‘আন্টি সমাচার’, ‘প্রেম রোগ’ এবং ‘এসো গান শিখি’র দৃশ্যধারণ শেষ করেছি। এগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছে। সিরিজ থেকে আয়ের অর্থ ব্যয় হবে অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে। পাশাপাশি চলছে নতুন সাত পর্বের দৃশ্যধারণ। ঈদের আগেই এগুলো প্রচার হবে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে থাকছে বিশেষ পর্ব। এর মধ্যে থাকবে চাঁদ রাতের আয়োজন। আগামীতে বিষয় বৈচিত্র্যের পাশাপাশি যোগ হবে নতুন চরিত্রও। চার থেকে ছয় মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিরিজটির মাধ্যমে আমরা দর্শকদের সচেতনতার পাশাপাশি আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’ অনুষ্ঠানটিতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সব অঙ্গনের মানুষকে নিয়েই ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’। এতে চিকিৎসক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, লেখক, বিউটিশিয়ানরা অংশ নেন। এর আগে দীর্ঘদিন একটি মুঠোফোন কোম্পানির অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য এই ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’ অনুষ্ঠানটি করেছি। এখন ঘরবন্দি দিনগুলোতে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সেই কোম্পানির ফেসবুক পেজে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় আড্ডায় অংশ নিচ্ছি। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূরে থেকেও নিজের কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছি।

লকডাউনের আগে আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ ছবিতে অভিনয় করেছেন…

হ্যাঁ। আফজাল হোসেনের পরিচালনায় কাজের অভিজ্ঞতা অন্যরকম। সব অভিনয়শিল্পী ভালো কিছু কাজের জন্য সবসময়ই অপেক্ষা করেন। ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ তেমনই একটি কাজ। সব মিলিয়ে ছবিটি বেশ যত্ন করে নির্মাণ করছেন পরিচালক। এতে আমার সহশিল্পী ফেরদৌস।

শুনলাম। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন?

ঠিকই শুনেছেন। ‘খামারবাড়ি’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিনোদন অঙ্গনের জন্য অনেক পরিকল্পনা করছি। বেশ কয়েকটি কাজ গুছিয়েও নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন সব থমকে গেছে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। করোনাকাল শেষ হলে ‘টুইন রিটার্নস’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ ও দুটি সিনেমার শুটিংয়ে যাব।

Pin It