চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে হিন্দুদের একটি আখড়ার জমি হস্তান্তরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলায় অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শিগগিরই স্থানীয় থানায় মামলাটি দায়ের হবে রোববার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হবে।
সাংসদ ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- ওই আখড়ার সেবায়েত ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারী, গোমস্তাপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার বসু প্রদীপ কুমার (বর্তমানে নওগাঁর পত্নীতলা), স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাহারাম মিঞা, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আখতারুল ইসলাম, মো. তারিকুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান, মো. সাকিব উদ্দীন ও ঢাকার দারুস সালামের বাসিন্দা মো. শাহজাহান সেলিম।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে গোলাম মোস্তফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (ভোলাহাট, গোমাস্তাপুর, নাচোল) এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি রহনপুর পৌরসভার দুই বারের মেয়র ছিলেন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পর তিনি এখন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা।
গোমস্তাপুরের রহনপুরে অবস্থিত মোহন্ত এস্টেটের দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তরের ঘটনার তদন্ত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছেন।
প্রনব কুমার বলেন, সরকারের অনুমতি না নিয়ে সেবায়েত ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারী আখড়ার মোট ১৭৯ একর জমির মধ্যে ৪৪ একর জমি আট জনের কাছে হস্তান্তর করেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এর মধ্যে সোয়া আট একর জমি রেজিস্ট্রি হয় গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের নামে। রেজিস্ট্রি করেন তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার।
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০ অনুযায়ী, সরকারের অনুমতি ছাড়া দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর করা যায় না।