ভ্যাট সংগ্রহে দোকানে বসানো থেকে শুরু করে ইএফডি পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষণে আউটসোর্সিং ব্যবস্থায় যাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম।
ইতোমধ্যে এ জন্য দরপত্রও আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার ডিসেম্বর মাসে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) এর মাধ্যমে ভ্যাট প্রদানকারী ক্রেতাদের লটারির ড্র অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
ইএফডি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আউটসোর্সিং কোম্পানিকে তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা রাজস্বের একটা অংশ কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া সফল হলে রাজস্ব সংগ্রহে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
“আমি দেখেছি ইএফডি দিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ শুধু আমাদের (এনবিআর) দিয়ে এটা টেকসই নয়। কিন্তু আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় এটা টেকসই হতে পারে।”
ভ্যাট সংগ্রহ বাড়াতে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই ইএফডি কার্যক্রম উদ্বোধন করে এনবিআর। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৩৯৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে এ যন্ত্র বসিয়েছে এনবিআর।
শুরুতে বিনামূল্যে দেওয়া হলেও এখন স্বল্পমূল্যে ইএফডি সরবরাহ করছে এনবিআর।
ইএফডি একটি হিসাবযন্ত্র। এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানির প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য রাখা হয়।
কোম্পানির দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি।
ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি আদায়ও বাড়বে বলে আশা করছে দেশের প্রদান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটি।
অনুষ্ঠানে ইএফডি পরিচালনার কার্যক্রম আউটসোর্সিং ব্যবস্থায় দেওয়ার প্রসঙ্গে রহমাতুল মুনিম বলেন, এনবিআর বা ভ্যাট প্রশাসনের পক্ষে দেশের সব খুচরা দোকানে লাখ লাখ মেশিন বসিয়ে সেটিকে পাহারা দেওয়া, সেটিকে পুনস্থাপন বা মেরামত করা সম্ভব নয়।
“সেই মেশিনে ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করাও সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেশিন থাকবে আবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আউটসোর্সিং কোম্পানি থাকবে; যারা মেশিন অপারেট, মেইনটেইন করা, তথ্য জেনারেট করা এবং সেই তথ্য আমার কাছে পাঠানো।“
এ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব সংগ্রহের তথ্য জানা যাবে বলে যোগ করেন তিনি।
ইএফডি কার্যক্রমে সফল হলে অর্থাৎ দেশের খুচরা দোকান পর্যায়ে এ যন্ত্র স্থাপন করা গেলে এ খাতে অন্য ধরনের গতি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইএফডি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে যে ভীতি ছিল সেটা দূর করা সম্ভব হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিসেম্বরে লটারির ড্র করা হয়; এতে প্রথম পুরস্কার (একটি) এক লাখ টাকা জিতেছে কুপন নম্বর-000921OXPJGEK471।
দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা (একটি) – 002621FYXRXJZ906 এবং তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি) জিতেছে- 003221UHFCDSH174, 000121CPHSWSY328, 002421DURSFNM693, 002621NFFUAAF338, 000121TNSVWRV575।
এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জন ১০ হাজার টাকা জিতেছেন।