টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে তিনদিনের পরিবর্তে এবারের বিশ্ব ইজতেমা চারদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিনদিনের পরিবর্তে চারদিনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্যবদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা।
তাবলিগের বিবদমান দুপক্ষ দুদিন করে চারদিন বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে। আগামী ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলীগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলরূপে পরিচালনা এবং বিশ্ব ইজতেমার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) জনাব আবু বকর ছিদ্দীক ও তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের মুরব্বী মাওলানা মো. যুবায়ের, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিন দিনের পরিবর্তে চার দিনে অনুষ্ঠিত হবে এবার বিশ্ব ইজতেমা। তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার ১ম, ২য় দিন ( ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা পরিচালনাসহ অন্যান্য বিষয়ে দেখভাল করবেন মাওলানা জুবায়ের। পরবর্তী ২ দিন (১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেউ কারও বিরুদ্ধে উস্কানি বা নিন্দামূলক কোন বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করবেন না। দাওয়াতে তাবলীগের ঐতিহ্য অনুসরণ করে ইসলামের খেদমতে সকলে মিলে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের সকল পর্যায়ে মসজিদ/গ্রাম/মহল্লায় তাবলিগের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনায় দাওয়াতে তাবলিগের অনুসারীদের সকল প্রকার বিরোধ, সংঘাত ও গোলযোগ পরিহারের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেহেতু এটি বিশ্ব ইজতেমা, এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেহমানগণ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সরকার সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুসারে সকলের সহযোগিতায় এ বছর আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও সৃশৃঙ্খলভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় তিনি দাওয়াতে তাবলীগের সকল পর্যায়ের সাথীবৃন্দ, দেশবাসী, মিডিয়াসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইজতেমায় যে কোনো ধরনের গোলমাল না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হতে পারে।