ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলো বগুড়া

image-229801-1615905794

গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ স্থান করে নেয়ার খবরে সারাদেশের মত বগুড়ার মানুষেরা উল্লসিত। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার আনন্দিত। ইতিমধ্যে সুবজ ও বেগুনি ধানগাছের চারায় জেগে উঠেছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতি।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম বালেন্দা। গত ২৯ জানুয়ারি এই গ্রামের মাঠেই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু ক্যানভাসের প্রথম চারা রোপণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বালেন্দা গ্রামের চোখজুড়ানো দিগন্ত বিস্তৃত মাঠেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু এই ব্যতিক্রম আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার। এতে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি টাকা।

বালেন্দা গ্রামের কৃষক শাহীনুর সরকার বলেন, ‘এমন কাজ আমাদের এলাকায় হবে আমরা কেউ আগে চিন্তা করতে পারিনি। এটি দেখার জন্য অনেক মানুষ এখানে আসছেন। ধান দিয়ে এমন একজন মহামানবের ছবি তৈরি করায় আমরা গর্বিত।’

্শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ম.আব্দুর রাজ্জাক জানান, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ প্রতিকৃতির সঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলো।

শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে একত্রে ১২০ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে ৬ মাসের জন্য লিজ নেওয়া হয়েছে। এরপর সেখানে চীন থেকে আমদানি করা বেগুনি ও সবুজ (যা সোনালি বর্ণ ধারণ করবে) দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের বীজ রোপণ করা হয়। রোপণকৃত বীজে চারা উৎপাদন করে তা দিয়ে ১২০ বিঘা জমিতে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা স্থানে বেগুনি ও সবুজ ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা পাখির চোখে (উঁচু থেকে) ৪০ একর অর্থাৎ ১২০ বিঘা জমিতে রোপণ করা ধানের দৃশ্যে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতি ধরা দিয়েছে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা যায়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এর আগে চীনে ২০১৯ সালে শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। এবার বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দায় যে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রটি পাখির চোখে ধরা দিতে শুরু করেছে, তার আয়তন হবে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গ মিটার।

শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের ইউনিয়নের মাটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিশাল আয়তনে যে চিত্রকর্ম করা হচ্ছে, তা সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশ ও জাতির জন্য এটি হবে মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার।

গত ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উচ্চফলনশীল দুই ধরনের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এতে সভাপতি ছিলেন।

Pin It