ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুমাত্রা প্রদেশে দিয়াশলাই তৈরির একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। খবর এএফপির।
নর্থ সুমাত্রার বিনজায় জেলার ওই কারখানায় স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে।
পুলিশ বলছে, আবাসিক এলাকার সরুগলিতে অবস্থিত ওই কারখানায় যখন আগুন লাগে তখন সেটা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। যে কারণে আগুন লাগার পর শ্রমিকরা সেখান থেকে বের হতে পারেনি।
বিনজায় পুলিশ প্রধান নুগরোহো ত্রি নূরহায়োতো বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি। নিহত সবাই কারখানার ভেতর আটকা পড়েছিলেন। সেখানে বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না। মাত্র তিনজন সেখান থেকে বের হতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, আমরা নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারখানায় শিশুরা কী করছিল সেটা বুঝতে পারছি না। তবে কারখানা থেকে উদ্ধার করা এক শিশু জানিয়েছে, দুপুরে সে তার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, তিনি বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পান। তারপরই পুরো ভবনে আগুন লেগে যায়।
উত্তর সুমাত্রার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রধান রিয়াদিল আখির লুবিস বলেন, ঠিক কিভাবে আগুন লেগেছে তা আমরা এখনও জানি না। তবে এটি খুবই দুঃখজনক। অগ্নিকাণ্ডে তিন শিশুসহ ৩০ জন মারা গেছে।
তিনি জানান, আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে।
হতাহতদের স্থানীয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে স্বজনদের লাশ শনাক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিনজায় পুলিশ প্রধান।
ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে সেখানে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালে একটি অনুমোদনহীন খনিতে দুঘর্টনায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হন।