ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে বাংলাদেশ ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানে থাকবে বলে জানালেও ইরাকে প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক বৈঠক শেষে ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেটা ভেবে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। আমরা কনটিনিউয়াসলি খবর নিচ্ছি। আমাদের প্রায় লাখ তিনেক শ্রমিক ইরাকে আছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইরান ইতোমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, তার দেশের স্বার্থ আক্রান্ত হলে ইরানে হামলার জন্য ৫২টি জায়গা তিনি বাছাই করে রেখেছেন।
এই কথার যুদ্ধের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে ইরাকেও। ইরানের সমর্থনপুষ্ট ইরাকি মিলিয়াশিয়া দলগুলোর অবস্থানে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ”এগুলোতো খুব টার্গেটেড অ্যাটাক হচ্ছে, সুতরাং তারা এখনো কোনো ঝামেলায় পড়ে নাই।”
সোমবার ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ”আমি বলেছি, আপনি খোঁজ রাখেন, ওদেরকেও সতর্ক থাকতে বলেন।”
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, “গ্লোবালাইজড ওয়ার্ল্ডে কোথাও যদি অস্থিতিশীলতা হয়, (তাহলে) আমাদের দুশ্চিন্তা হয়। কারণ আমাদের এক কোটি ২২ লাখ লোক বিদেশের বিভিন্ন দেশে আছে। ওদের ইকোনম খারাপ হলেও আমাদের দুঃখ লাগে, কারণ স্থিতিশীলতা থাকলে আমরা উন্নয়নের রোডম্যাপ অর্জন করতে পারি।
”এজন্য আমরা সব জায়গায় স্থিতিশীলতা চাই, শান্তি চাই। কারণ আমরা সব জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছি। আরেক দেশে ঝামেলা হোক আমরা এটা চাই না।”
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে বাংলাদেশের অবস্থানের নিয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অন্যরা ঝগড়া-ঝাটি করুক, কিন্তু আমরা ব্যালেন্সড, ইনডিপেনডেন্ট, নন-অ্যালাইনড থাকতে চাই। আমাদের নীতি- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’।
”ওরা ওখানে ঝগড়া-ঝাটি করুক, এটা তাদের ঝগড়া-ঝাটি, আমাদের না।”