প্রজনন মওসুমে মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার।
তবে এখন আট মাস জাটকা নিধন এবং ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকছে।
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ শিকার, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে।
২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোটখাটো কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশ শিকার, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করার কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করছি, এই মৌসুমে নজিরবিহীন ইলিশের উৎপাদন হবে।”
তবে ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনের জন্য এখন অভয়াশ্রমগুলোতে জাটকা ধরা বন্ধের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের কর্মসূচি আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে জাটকা ইলিশ শিকার, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করার কর্মসূচিও সফল করতে পারব। তখনই বলা যাবে আসলে কত ইলিশ উৎপাদন হবে।”
২২ দিনের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর অভিযানের মধ্যে সারা দেশে ১১৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করেছে। মোট অভিযান হয়েছে ৮৩৯টি।
এই ২২ দিনে ৮ দশমিক ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ, ৩৩ দশমিক ৮৩২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া ২৪১টি মামলা, সোয়া তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৮০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দশ বছর আগে ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে দেশে উৎপাদিত ইলিশের পরিমাণ ছিল ২.৯৮ লাখ মেট্রিক টন। নানা পদক্ষেপের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ইলিশ উৎপাদন।
দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়েছিল, ২০১৮-১৯ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছিল।