“সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করতে আনুপাতিক ভোটের প্রস্তাব করেছি”, বলেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনকে ‘বিপ্লব’ আখ্যা দিয়ে দেশে আরও একটি ‘বিপ্লবের’ ঘোষণা এসেছে জামায়াতে ইসলামীর তরফে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সেই ‘বিপ্লব’ হবে ইসলামের, এ জন্য নেতাকর্মীদেরকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এই বক্তব্য রাখেন বলে দলটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পরওয়ার বলেন, “৫ আগস্ট এর পর আরেকটি ‘বিপ্লব’ হবে, আর সেটা হবে ‘ইসলামের বিপ্লব’। সেই ইসলামী বিপ্লবের জন্য সকল রুকন ভাইবোনদেরকে প্রস্তত থাকতে হবে।”
রুকন বা সদস্যদেরকে ‘সংগঠনের খুঁটি’ আখ্যা দিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “খুঁটিকে মজবুত করে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন শক্ত ঈমান । আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে আগামী ২ বছরের জন্য জেলা আমিরের শপথ পড়ানো হয়।
কুষ্টিয়া জামায়াতের আমির আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন, অঞ্চল টিম সদস্য এ কে এম আলী মুহসিন।
‘যৌক্তিক সময় পর’ সংখ্যানুপাতিক ভোটের দাবি
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান একই দিন নীলফামারীতে জেলার রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সংখ্যানুপাতিক ভোটে সংসদ নির্বাচনের দাবি করেন।
জামায়াতের প্রস্তাব অনুযায়ী কোনো দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তাদের তত শতাংশ আসন থাকবে।
জামায়াতের আমির বলেন, “আমরা ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। অন্তর্বতী সরকার আমাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা যাবে। সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করতে আনুপাতিক ভোটের প্রস্তাব করেছি।”
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। আর সংস্কারের জন্য সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দিতে হবে।
“বিএনপি সরকারকে নির্বাচনের বিষয়ে বার বার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘সবাই’ একমত।”
এর আগে রুকন সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম বলেন, “সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে ‘অতীতের মত’ আশঙ্কা রয়েছে। সরকার দ্রুত সংস্কার করে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।”