তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা এখনো দাপ্তরিক কাজে শতভাগ অফিশিয়াল ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করছেন না। সরকারি কর্মকর্তাদের সরকার প্রদত্ত ইমেইল ব্যবহার বিষয়ে আইন তৈরি করা হচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে একটি ই-মেইল পলিসি তৈরি করছে যা চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) এবং এটুআই উদ্যোগে ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনলাইন প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা ও সক্ষমতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের সক্ষমতা অর্জনে সরকারি-বেসরকারি খাত, ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়াকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
সাইবার হামলার মাধ্যমে বড় ধরনের ক্ষতি করা সম্ভব উল্লেখ করে পলক বলেন, পুরো দেশ যেখানে ডিজিটাল হচ্ছে সেখানে ঝুঁকিও থাকবে। তবে সেই ঝুঁকি মোকাবিলায় রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করা আবশ্যক।
উল্লেখ করে পলক বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে সকল কর্মকর্তাকে একটি সরকারি ই-মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়, যার শেষে ডট গভ ডট বিডি রয়েছে। তিনি বলেন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি ই-মেইল ব্যবহার করা উচিত। কারণ একজন ব্যক্তির কারণে পুরো দেশ সাইবার ঝুঁকিতে পড়তে পারে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অন্তত একটি অনলাইন কোর্স দেওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সরকার সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত। পর্যায়ক্রমে কোর্সগুলোকে অনলাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মুক্ত পাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট অনলাইনে প্রদান করা যেতে পারে, এতে অল্প সময়ে অনেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম, এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী প্রমুখ।